ডেস্ক রিপোর্ট: বরগুনা জে’লার বেতাগী উপজে’লায় উরশ মাহফিল থেকে ডেকে নিয়ে তিন বন্ধু মিলে এক কিশোরীকে ধ’র্ষণের অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে শুরু হয় তোলপাড়!
মঙ্গলবার রাত ৮টায় বেতাগী উপজে’লার হোসনাবাদ ইউনিয়নের মীরা বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ধ’র্ষিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে বেতাগী থা*নায় একটি ধ’র্ষণ মা’মলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমা’র স্বামী মা’রা যাওয়ার পর অন্যত্র বিয়ে করার কারণে স্থানীয় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করি আমি। সাংসারের খরচ মিটাতে নিজেই রাজমিস্ত্রির সাথে দিনমজুরের কাজ করি।
প্রায়ই স্থানীয় হোসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা সাগর আমা’র মেয়েকে উ’ত্ত্যক্ত করতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজারের পাশে উরশ মাহফিল হচ্ছে জেনে সেখানে যায় আমা’র মেয়ে।
সেখানে মেয়েকে দেখে সাগরের সাথে থাকা দুই বন্ধু নাঈম হোসেন ও মো: নাঈম মিলে আমা’র মেয়েকে মীরা বাড়ির বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তিন বন্ধু মিলে মেয়েটিকে ধ’র্ষণ করে।
ঘটনার দিন রাত ৯টায়ও আমা’র মেয়ে বাসায় ফিরছে না দেখে স্থানীয় লোকজনসহ তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি। ধ’র্ষণের শিকার কিশোরী বলেন, উরশ মাহফিলের মাইক অনেক জো’রে বাজানোর কারণে ঘটনার সময় আমি অনেক ডাক-চি’ৎকার করলেও কোন লাভ হয়নি, কেউ শুনতেও পায়নি।
পরে লোকজন গিয়ে টর্চ লাইটের আলো ছড়ালে ওরা পালিয়ে যায় এবং আমি তাদের সহায়তায় বাসায় ফিরে আসি। এ ঘটনার পর থেকে অ’ভিযুক্ত আ’সামিরা পলাতক রয়েছেন।
মা’মলায় অ’ভিযুক্ত ধ’র্ষকরা হলেন- বরগুনা জে’লার বেতাগী উপজে’লার হোসানাবাদ গ্রামের মৃ’ত মোতালেব হাওলাদারের ছেলে সাগর (১৬), একই গ্রামের বাসিন্দা নাঈম হোসেন (১৮), মো: নাঈম (১৭)।
এ বিষয়ে বেতাগী থা*নার ওসি মো. কাম’রুজ্জামান মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নারী নি’র্যাতন আইনে তিন জনকে আসামী করে ধ’র্ষণ মা’মলা দায়ের করা হয়েছে। আ’সামীদের গ্রে’ফতারে অ’ভিযান অব্যহত রয়েছে।